অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এটা না জেনে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবো না।। যখন, আপনি এফিলিয়েট করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম জানতে হবে এবং মেনে কাজ করতে হবে। আর আপনি যদি সেই নিয়ম গুলো কে সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
এখন জানার বিষয় হলো যে, সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার নিয়ম গুলো কি কি, কোন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
কিভাবে কোন টাকা ছাড়াই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
১. প্রথমে আপনাকে আপনার নিজস্ব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অধিক প্রচুর পরিমাণে অডিয়েন্স থাকবে।
২. এই প্লাটফর্ম এর জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
৩. এরপর আপনাকে এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। এবং আপনাকে খুঁজে নিতে হবে যে। আপনি আসলে কোন প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
৪. বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক ধরনের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম যুক্ত আছে, এমন প্রতিষ্ঠানের নাম দেখতে পারবেন।
৫. এখন আপনি আপনার পছন্দমত একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান কে বেছে নিতে পারবেন। এবং সেই প্রতিষ্ঠানে থাকা নির্দিষ্ট একবার একাধিক প্রোডাক্ট কে মার্কেটিং করতে পারবেন।
৬. সবশেষে আপনি সেই প্রোডাক্ট গুলোর মার্কেটিং করবেন। এবং উক্ত প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন ধরনের কাস্টমারের নিকট বিক্রি করে কমিশন লাভ করতে পারবেন।
মূলত আপনি যদি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সে পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনি এই ৬ টি পদ্ধতি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো
এতক্ষণ ধরে আপনি জানতে পারলেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো। তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে হবে। আর সেটি হল যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব।
অর্থাৎ আপনি অনলাইনে আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন। তাহলে সেই কাজ গুলো কে বাদ দিয়ে আপনি কি কারণে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত। প্রতিটা কাজের কিছু না কিছু সুবিধা গত দিক থাকে।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি নিজেকে একজন এফিলেট মার্কেটার হিসেবে পরিচিত করতে পারেন। এবং আপনি যদি এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি এই সেক্টর থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কারণ গুলো কি কি।
বিশ্ব এখন অনলাইন মুখি
সবার আগে আপনার নিজের কথা চিন্তা করে দেখুন। যখন আপনি ঘুম থেকে উঠেন, তখন সবার প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল কে খোঁজার চেষ্টা করেন।
এবং আপনার দিনের শুরুটা কিন্তু মোবাইল দিয়েই হয়। এখন আপনি অন্যান্য মানুষের কথা চিন্তা করে দেখুন। পৃথিবীতে থাকা প্রায় অধিকাংশ মানুষ ঠিক আপনার মতই ঘুম থেকে ওঠার পরেই মোবাইল খুঁজতে শুরু করে।
কারণ শুধুমাত্র এই মানুষ গুলো কিংবা আপনি নয়। বরং এই গোটা বিশ্বের মানুষ এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখন আপনি যদি এই অনলাইন নির্ভর হওয়া মানুষ গুলো কে কাজে লাগাতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে নজর রাখতে হবে।
কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি এই সব মানুষ গুলোর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। যার কারণে এই মানুষ গুলো নিজের ঘরে থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে কিনে নিতে পারবে।
অনলাইনে পণ্য কেনার চাহিদা
এই গোটা বিশ্ব যতটা উন্নত হচ্ছে, ঠিক ততটাই মানুষ হিসেবে আমরা অলস হয়ে পড়ছি। আর সে কারণেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব কেনাকাটা করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেই কেনাকাটা গুলো এখন অনলাইনের মাধ্যমেই করা হয়ে আসছে। আপনি যদি উন্নত দেশ গুলোর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে।
সেই দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুলো তাদের জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো সরাসরি মার্কেট থেকে যতটা কেনাবেচা করে। তার থেকে অধিক কেনাবেচা করে এই ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো থেকে।
কারণ এই মানুষ গুলো যদি অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করে। তাহলে তাদের কে আর ঘরের বাইরে গিয়ে মার্কেট করার প্রয়োজন পড়বে না। তারা নিজের ঘরে থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কে অনলাইনের মাধ্যমে কিনে নিতে পারবে। যার ফলে মানুষ এখন এই অনলাইনে মাধ্যমেই কেনাকাটা করে আসছে।
আর এর ফলেই মূলত বর্তমান সময়ে এফিলেট মার্কেটিং এর এত বেশি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনলাইন কেনাকাটায় বিশ্বস্ততা
যদিও বা অনলাইন কেনাকাটার দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশ এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশ গুলোর কথা চিন্তা করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই দেশ গুলো তে ইতিমধ্যেই অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অনলাইন কেনাকাটা করার মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে। বিশ্বে অনেক এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট রয়েছে।
যেমন আপনি যদি Amazon কিংবা Alibaba এর কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো প্রায় বিশ্বের অনেক দেশে। তাদের কাস্টমারদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে।
আর মানুষ যখন কোন কিছু তে বিশ্বাস অর্জন করতে পারে। তখন তার সেই কাজ টি করতে অনেক সহজ হয়। যে কারণে বর্তমান সময়ে মানুষ এখন নিশ্চিন্তে তাদের অর্থ ব্যয় করার মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করে আসছে।
আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশে দারাজ কিংবা বিডি শপ এর কথা চিন্তা করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটা দেশেও, কিন্তু এখন অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কিনে থাকে।
আমার ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/sabbirwdx0/
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ : https://www.facebook.com/groups/freelanceguidelines/
আমাদের সার্ভিস: https://freelancersabbir.com/services/