এফিলিয়েট কি, এফিলেট মার্কেটিং কাকে বলে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে। তবে এই বিষয় টি জানার আগে আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
আর সেই বিষয় টি হল, এফিলিয়েট কি। কারণ যখন আপনি জানতে পারবেন যে, এফিলিয়েট কাকে বলে। তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।
এফিলিয়েট কি?
যখন আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে কোন একটি দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর উৎপাদিত পণ্য কাস্টমারদের নিকট বিক্রি করে দিবেন। তখন আপনার এই বিক্রি করে দেয়ার পদ্ধতি কে বলা হবে, এফিলিয়েট। যেমন ধরুন, আমার একটি ডোমেইনহোস্টিং কোম্পানি আছে।
এখন আপনি আমার কোম্পানি তে থাকা এই ডোমেইন হোস্টিং গুলো বিভিন্ন কাস্টমারের নিকট বিক্রি করে দিলেন। এবং আপনি যে আমার কোম্পানির ডোমেইন হোস্টিং গুলো বিক্রি করে দিলেন। এর বিনিময়ে আমি আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা কমিশন হিসাবে প্রদান করলেন করলাম। এখন আপনি যে আমার হোস্টিং সেবা বিক্রি করে দিলেন।
এবং আমি আপনাকে সেই ডোমেইন হোস্টিং বিক্রি করার বিনিময়ে কমিশন প্রদান করলাম। মূলত এই পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, এফিলিয়েট।
এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের কি বলে!
এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে মূলত তিনটি স্তর থাকে। একটি হল কোম্পানি কিংবা ব্যবসা, যাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট রয়েছে। অপরটি হল কাস্টমার, অর্থাৎ যারা এই কোম্পানি কিংবা ব্যবসা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট গুলো কিনে নিবে। এবং সর্বশেষ স্তরের নাম হলো, এফিলিয়েট মার্কেটার।
অর্থাৎ আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। তাহলে আপনাকে বলা হবে, এফিলিয়েট মার্কেটার। কারণ এখানে আপনি মূলত একজন মধ্যস্থকারী হিসেবে কাজ করছেন। এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট কে কাস্টমার এর নিকট অনলাইন এর মাধ্যমে প্রচার করছেন। এবং যখন কাস্টমাররা এই ধরনের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখে।
তখন তাদের মধ্যে উক্ত প্রোডাক্ট টি কেনার আগ্রহের সৃষ্টি হয়। আর সে কারণেই এই এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে যারা মধ্যস্তকারী হিসেবে কাজ করে। তাদের কে বলা হয়ে থাকে, এফিলিয়েট মার্কেটার।
কিভাবে ইনস্টাগ্রামে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো?
বর্তমান সময়ে অন্যান্য যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেই প্ল্যাটফর্ম গুলোর মত ইনস্টাগ্রাম ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে। কারণ আপনি যদি ইন্সটাগ্রাম এর ইউজার এর দিকে লক্ষ্য করেন।
তাহলে আপনিও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। কারণ ২০১৭ সালে instagram এর মোট ইউজার এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৯৩.৭ মিলিয়ন। এবং আপনি যদি বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করেন। তাহলে ২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রাম এর মোট ইউজারের সংখ্যা ১.৬২৮ বিলিয়নে।
এবার একবার ভেবে দেখুন যে, অতীতের দিন গুলোর তুলনায় বর্তমান সময়ে ইনস্টাগ্রাম নামক এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের জনপ্রিয়তা কি পরিমাণে বেড়ে উঠছে। আর এই জনপ্রিয়তা সামনের দিকে আরো বাড়বে। কিভাবে ইনস্টাগ্রামে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন বিস্তারিত আলোচনা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনি এমন অনেক ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আপনাকে ধাপে ধাপে সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এবং আপনি অবশ্যই এই সুবিধা গুলো একটু হলেও মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন।
সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক কাজ
যেহেতু এই পদ্ধতি টি অনলাইন কেনাবেচার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বরং আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে এই ধরনের এফিলেট মার্কেটিং এর যাবতীয় কাজ গুলো করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার হাতে যদি একটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ থাকে।
তাহলে আপনি খুব সহজেই এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকা, সকল ধরনের কাজ গুলো আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।
খুব বেশি ব্যয় হয় না
যখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। কারণ মার্কেটিং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন কাজের উপর সীমাবদ্ধ থাকে না। সময় অনুযায়ী আপনাকে মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা পাওয়ার জন্য। অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। এখন যদি আপনি সেই কাজ গুলো নিজে থেকেই করতে পারেন।
তাহলে আপনাকে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য খুব বেশি একটা ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না।
ঘর কিংবা জায়গার প্রয়োজন হয় না
আপনি যদি কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন হবে। সেই জায়গা তে আপনার ঘরের প্রয়োজন হবে। কিন্তু যখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনার এই জাতীয় কোন বিষয়ের প্রয়োজন হবে না।
কারণ আপনি অন্য একটি অনলাইন শপ কিংবা কোম্পানির পন্য সেল করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কোন ঘরের প্রয়োজন পড়বে না। এবং আপনার কোন জায়গার প্রয়োজন পড়বে না।
কম ইনভেস্টে বেশি লাভ
যদি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। কারণ এফিলেট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কিংবা আপনার বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগ থাকতে হবে। এখন এই ধরনের প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে।
কিন্তু আপনি যদি সঠিক ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তবে মার্কেটিং থেকে আপনি যে পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। সেই টাকার পরিমাণ আপনার ইনভেস্ট এর থেকে অনেক বেশি লাভ হবে।
অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা
যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করবেন। তখন অবশ্যই আপনার উক্ত কাজ সম্পর্কে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম নিবে।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে যখন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনার এই অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হবে।
আমার ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/sabbirwdx0/
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ : https://www.facebook.com/groups/freelanceguidelines/
আমাদের সার্ভিস: https://freelancersabbir.com/services/